Business

LightBlog

Thursday, 8 March 2018

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস



বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একটি শাখা। এই বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি সেনা ও মুক্তিবাহিনীরসদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। বর্তমানে এই বাহিনীর সামর্থ্য দেড় লাখ+ সদস্য।
ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য সেনাবাহিনীর মতো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আদলে গঠিত হয়েছে এই বাহিনী সাতটি ডিভিশন নিয়ে। অবশ্য এই বাহিনী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা কার্যপ্রণালী, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং নন-কমিশন্ড অফিসার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে৷ এটি গোলন্দাজ, সাঁজোয়া ও পদাতিক ইউনিট দ্বারা সজ্জিত৷
অধিকন্তু এই বাহিনী, শান্তি-রক্ষী বাহিনী হিসাবে তার সামর্থ্য উন্নত করতে উৎসাহী এবং সেই লক্ষে মার্কিন বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করছে ৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই বাহিনীতে মহিলা সৈনিকদের প্রথম ব্যাচ পাসিং আউট প্যারেড (প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ) করে ৷[৩]

পরিচ্ছেদসমূহ

  [লুকিয়ে রাখুন

ইতিহাস

গঠন/প্রতিষ্ঠা


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর বাঙালি সৈন্য ও অফিসার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যান্য অংশ হতে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। ১১ এপ্রিল(১৯৭১) বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী(অস্থায়ী) তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন৷ ঐ ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম. এ. জি. ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন৷[১] উল্লেখ্য যে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয়সাধন করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা - প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ এই বাহিনীর গেরিলা যুদ্ধের জন্য নিয়জিত অংশকে বলা হতো গণবাহিনী যা সাধারণ জনগণ হতে বাছাইকৃত লোকবল নিয়ে গঠিত হয়। এবং নিয়মিত যুদ্ধের জন্য ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ইত্যাদি বাহিনীর লোকবল নিয়ে একটি নিয়মিত বাহিনী গোড়ে তোলা হয়। এই নিয়মিত বাহিনীর জন্য তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়। সেগুলো হল:
  • জেড ফোর্স - অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং এটি গঠিত হয়েছিল ১ম, ৩য় এবং ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই জুলাই।[৪]
  • কে ফোর্স - অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ এবং এটি গঠিত হয়েছিল ৪র্থ, ৯ম এবং ১০ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে আগস্ট।
  • এস ফোর্স - অধিনায়ক ছিলেন মেজর সফিউল্লাহ এবং এটি গঠিত হয়েছিল ২য় এবং ১১শ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর।

প্ররম্ভিক ইতিহাস

১৯৭১-এ যুদ্ধ পরবর্তী সেনাবাহিনীর ভূমিকা

প্রধান যুদ্ধসমূহ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল আলাদা দু’টি রাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে। পাকিস্তান দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল, পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। এই দুই অংশের সাংস্কৃতিক ব্যবধান ছিল বিশাল ও ব্যাপক। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে ঘোষণার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে একটি র‌্যালির আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানী মিলিটারি এতে যোগদানকারী ছাত্রদের উপর গুলি চালায়। পরবর্তীতে, ১৯৭০ সালে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের লক্ষ্যে দেশের দুই অংশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে। কিন্তু তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শান্তিপ্রিয় ও নিরীহ বাঙালিদের উপর দমনমূলক সামরিক অভিযান ও নির্যাতন চালায় এবং যার ফলশ্রুতিতে প্রায় ৩ মিলিয়ন (৩০ লক্ষ) বাংলাদেশী নিহত হন। অবশেষে ৯ মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধের পর, পূর্ব পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে 'বাংলাদেশ' নামে পরিচিত।

পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা - পার্বত্য চট্টগ্রামের সায়ত্বশাসন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি অধিবাসীদের অধিকার আন্দোলন প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র অংশ শান্তিবাহিনীর মধ্যেকার একটি রাজনৈতিক সমস্যা ও সশস্ত্র সংঘাত। শান্তি বাহিনী ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও শান্তি বাহিনীর মধ্যেকার এই সশস্ত্র সংঘাত পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ধরে চলমান থাকে, যার অবসান ঘটে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সাক্ষরিত শান্তিচুক্তিরমাধ্যমে। শান্তি বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহের বিপরীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ন সামরিক অভিযানে জড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একজন সেনা কর্মকর্তার অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রমে অজনপ্রিয় হয়ে উঠে ও স্থানীয় আদি অধিবাসী ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অবিশ্বাস ও সক্রিয় বিরোধিতার সূত্রপাত ঘটায়। ১৯৬২ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলে ভূমি হারানো প্রায় ১,০০,০০০ আদি অধিবাসীদের পুনর্বাসন সহ আরও অন্যান্য সমস্যার সমাধানে সরকার ব্যর্থ হয়। ভূমি হারানোদের কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি এবং ৪০০০০ হাজারের বেশি চাকমা নাগরিককে ভারতে চলে যেতে হয়। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি বসতি স্থাপন শুরু করে, ফলে আরো কিছু স্থানীয় আদি অধিবাসী উচ্ছেদিত হন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এরূপ সেটেলমেন্ট এই অঞ্চলের জনমিতিতে বিরূপ পরিবর্তন সৃষ্টি করে। ১৯৭২ সালে ঐ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার হিসেবে বাঙালি জনসংখ্যা ছিল ১১.৬%, যা ১৯৯১ সাল নাগাদ বেড়ে দাড়ায় ৪৮.৫% এ।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শান্তি চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়, কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শাসনামলে লক্ষ্যনীয় অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।[৫]
১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দীর্ঘদিনের সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে পুনরায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। যার ফলাফল স্বরূপ ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়।[৬]
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অপেক্ষাকৃত শান্ত, যদিও এখনো সেখানে প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে । সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনে বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সহযোগিতা করে থাকে। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের সময় এবং অবকাঠামোগত নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ভুমিকা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা (ইউএনপিএসও)-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ১ম উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২,১৯৩ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি দল সৌদি আরব এবং কুয়েতের শান্তি রক্ষা কাজের পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নামিবিয়াকম্বোডিয়াসোমালিয়াউগান্ডা/রুয়ান্ডামোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ালাইবেরিয়াহাইতিতাজিকিস্তানপশ্চিম সাহারাসিয়েরা লিওনকসোভোজর্জিয়াপূর্ব তিমুরকঙ্গোআইভরি কোস্ট ও ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা কাজে অংশগ্রহণ করে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রায় ১০,৮৫৫ সৈন্য সারা বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি-রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত আছে, যা পৃথিবীর অন্য যে-কোন দেশ হতে বেশি।

বাংলাদেশের রাজনীতি ও সেনাবাহিনী

প্রতিষ্ঠানসমূহ

গঠন

সংগঠন কাঠামো

বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারাদেশে ছড়ানো ২৩টি ব্রিগেডসহ ৭টি পদাতিক ডিভিশনে বিভক্ত[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। এতে একটি আরমার্ড (সাঁজোয়া) ব্রিগেড (২টি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট), সাতটি গোলন্দাজ ব্রিগেড, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এয়ার-ডিফেন্স গোলন্দাজ ব্রিগেড, একটি ইঞ্জিনিয়ার্স ব্রিগেড, একটি কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন এবং দু’টি এভিয়েশন স্কোয়াড্রন আছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। এই বাহিনী নিম্নোক্ত আর্মস ও সার্ভিস কোরসমূহে বিভক্ত:

কমান্ড এ্যান্ড কন্ট্রোল

কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল অফিসারগণ
চীফ অফ আর্মি স্টাফ
জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক
প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসারগণ
চীফ অফ জেনারেল স্টাফলেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম,এনডিসি, পিএসসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এডজুটেন্ট জেনারেলমেজর জেনারেল এ কে এম মুজাহিদ উদ্দিন, এনডিইউ,afwc, পিএসসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেললেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, এনডিসি, পিএসসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডন্যান্সমেজর জেনারেল আব্দুল মতিন, afwc, পিএসসি, পিটিএসসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ-আল-হাসান, এনডিসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মিলিটারী সেক্রেটারীমেজর জেনারেল মুহাম্মদ মাহবুব হায়দার খান, এনডিসি, পিএসসি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আর্মি হেডকোয়ার্টারের গঠন:

আর্মি হেডকোয়ার্টার
ব্র্যাঞ্চডাইরেকটোরেট
জেনারেল স্টাফ ব্র্যাঞ্চস্টাফ ডিউটিস ডাইরেকটোরেট
মিলিটারী অপারেশনস ডাইরেকটোরেট
মিলিটারী ইনটেলিজেন্স ডাইরেকটোরেট
মিলিটারী ট্রেনিং ডাইরেকটোরেট
উইপোন ইকুইপমেন্ট এ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক ডাইরেকটোরেট
বাজেট ডাইরেকটোরেট
ইনফর্মেশন টেকনোলজি ডাইরেকটোরেট
আরমার্ড ডাইরেকটোরেট
আর্টিলারি ডাইরেকটোরেট
সিগনাল ডাইরেকটোরেট
ইনফেন্ট্রি ডাইরেকটোরেট
এডুকেশন ডাইরেকটোরেট
এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল ব্র্যাঞ্চপারসোন্যাল এডমিনিসট্রেশন ডাইরেকটোরেট
পারসোন্যাল সারভিসেস্ ডাইরেকটোরেট
ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন ডাইরেকটোরেট
পে পেনশণ এ্যান্ড এ্যাকাউন্টস ডাইরেকটোরেট
মেডিকেল ডাইরেকটোরেট
কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল ব্র্যাঞ্চমুভমেন্ট এ্যান্ড কোয়ার্টারিং ডাইরেকটোরেট
সাপলাই এ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ডাইরেকটোরেট
ডাইরেকটোরেট অফ ওয়ার্কস এ্যান্ড চীফ ইঞ্জিনিয়ার
মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডিনেন্স ব্র্যাঞ্চঅর্ডিনেন্স ডাইরেকটোরেট
ইলেক্ট্রিকাল এ্যান্ড মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারস্ ডাইরেকটোরেট
ইন্সপেকশন এ্যান্ড টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট ডাইরেকটোরেট
ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ ব্র্যাঞ্চইঞ্জিনিয়ার ডাইরেকটোরেট
ইলেক্ট্রিকাল ওয়ার্কস ডাইরেকটোরেট
মিলিটারী সেক্রেটারী'স ব্র্যাঞ্চ-
জাজ এডভোকেট জেনারেল ডিপার্টমেন্ট-

এরিয়া কমান্ড

  • সাভার এরিয়া (৯ পদাতিক ডিভিশন)
  • কক্স বাজার এরিয়া (১০ পদাতিক ডিভিশন) [৭]
  • বগুড়া এরিয়া (১১ পদাতিক ডিভিশন)
  • সিলেট এরিয়া (১৭ পদাতিক ডিভিশন)[৮]
  • ঘাটাইল এরিয়া (১৯ পদাতিক ডিভিশন)
  • চট্টগ্রাম এরিয়া (২৪ পদাতিক ডিভিশন)
  • কুমিল্লা এরিয়া (৩৩ পদাতিক ডিভিশন)
  • যশোর এরিয়া (৫৫ পদাতিক ডিভিশন)
  • রংপুর এরিয়া (৬৬ পদাতিক ডিভিশন)
  • ৬ এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারী ব্রিগেড
  • ১৪ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স ব্রিগেড
  • আর্মি সিগন্যাল ব্রিগেড
  • ৪৬ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনফেন্ট্রি ব্রিগেড
  • লজিষ্টিক এরিয়া

কমান্ডার ইন চিফ

সেনাপ্রধানগণের তালিকা

পদবিন্যাস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিন্যাস[১০] কমনওয়েলথ দেশসমূহের গঠন অনুযায়ি সাজানো। পদবিন্যাসটি নিচে উল্লেখ করা হল:

অফিসার (নিম্নক্রম অনুসারে)

সৈনিক

জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) (নিম্নক্রম অনুসারে)

নন কমিশন্ড অফিসার (এনসিও) (নিম্নক্রম অনুসারে)

সাধারণ সৈনিক

২০১৩ সাল থেকে মহিলাদের 'সাধারণ সৈনিক' হিসেবে যোগদানের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে ।

সরঞ্জাম


৪৬তম পদাতিক বাহিনীর সদস্যগন একটি অস্ত্রে সজ্জিত বিটিআর ৮০ এ রাজধানীর নিরাপত্তায় নিয়জত আছেন। এই ধরনের যুদ্ধ যান বাংলাদেশের রয়েছে প্রায় ১০০০টি। উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক এই ধরনের যুদ্ধ যান রয়েছে বাংলাদেশের।

টাইপ ৬৯ এমকে২জি প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক

সেনানিবাসের তালিকা

  1. ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা
  2. মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা
  3. সাভার সেনানিবাস, ঢাকা
  4. পোস্তগোলা সেনানিবাস, ঢাকা
  5. চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
  6. যশোর সেনানিবাস, যশোর
  7. রাজশাহী সেনানিবাস, রাজশাহী
  8. বগুড়া সেনানিবাস, বগুড়া
  9. জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাস, বগুড়া
  10. সৈয়দপুর সেনানিবাস, নীলফামারী
  11. শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
  12. ময়মনসিংহ সেনানিবাস, ময়মনসিংহ
  13. কাদিরাবাদ সেনানিবাস, নাটোর
  14. খোলাহাটি সেনানিবাস, দিনাজপুর
  15. বিএমএ, চট্টগ্রাম
  16. জালালাবাদ সেনানিবাস, সিলেট
  17. জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা
  18. কুমিল্লা সেনানিবাস, কুমিল্লা
  19. রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজিপুর
  20. রংপুর সেনানিবাস, রংপুর
  21. বান্দরবান সেনানিবাস, বান্দরবান
  22. খাগড়াছড়ি সেনানিবাস, খাগড়াছড়ি
  23. আলীকদম সেনানিবাস, কক্সবাজার
  24. কাপ্তাই সেনানিবাস, রাঙ্গামাটি
  25. দিঘীনালা সেনানিবাস, রাঙ্গামাটি

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ

  • বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বি এম এ), ভাটিয়ারি, চট্টগ্রাম
  • স্কুল অব ইসফ্যানিটি এন্ড ট্যাকটিকস (SI&T), জালালাবাদ ক্যান্টনম্যান্ট , সিলেট.
  • Defense Services Command and Staff College (DSC&SC), মিরপুর ক্যান্টনম্যান্ট, ঢাকা।.
  • National Defence College (NDC), Mirpur Cantonment, Dhaka.
  • Military Institute of Science & Technology (MIST), Mirpur Cantonment, Dhaka.
  • Armoured Corps Center & School (ACC&S), Jahangirabad Cantonment, Bogra.
  • Engineer Centre and School of Military Engineering, Quadirabad Cantonment, Natore.
  • Signal Training Centre and School, Jessore Cantonment, Jessore.
  • Army Service Corp Center & School, Jahanabad Cantonment, Khulna.
  • Army Medical Corps Center & School, Shaheed Salahuddin Cantonment,Ghatail, Tangail.
  • Ordnance Corps Centre & School, Rajendrapur Cantonment, Gazipur
  • Bangladesh Institute of Peace Support Operation Training (BIPSOT), Rajendrapur Cantonment, Gazipur.
  • Electrical and Mechanical Engineering Centre and School, Saidpur Cantonment, Nilphamari.
  • Corps of Military Police Centre and School, Shahid Salahuddin Cantonment, Ghatail, Tangail.
  • Army School of Education and Administration, Shahid Salahuddin Cantonment,Ghatail, Tangail.
  • Army School of Physical Training and Sports (ASPTS), Dhaka Cantonment, Dhaka.
  • Army School of Music, Chittagong Cantonment, Chittagong.
  • Armed Forces Medical College (AFMC), Dhaka Cantonment, Dhaka.
  • Artillery Center and School, Halishahar, Chittagong.
  • School of Military Intelligence, Moynamoti Cantonment, Comilla.
  • East Bengal Regimental Center, Chittagong Cantonment, Chittagong.
  • Bangladesh Infantry Regimental Center, Rajshahi Cantonment, Rajshahi.
  • Non Commissioned Officers Academy, Jahangirabad Cantonment, Bogra.
  • Bangladesh University Of Professionals(BUP), Mirpur Cantonment, Dhaka.
  • Bangladesh National Cadet Corps (BNCC), Dhaka Cantonment, Dhaka.
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment